কবে স্কুল খুলবে জানালেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সব শ্রেণির ক্লাস না নিয়ে একদিন এক শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লাস নেয়ার উপযোগী করে তুলতে বলা হয়েছে। আমরা ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল খোলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হলেও আগের মতো একসঙ্গে সবার ক্লাস নেয়া হবে না। একাধিক শিফট করে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বাকি ক্লাসগুলো সপ্তাহে একদিন করে নিতে নির্দেশনা দেয়া হবে। সব বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নিয়মিত স্লিপের (বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ) অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসতে চাচ্ছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠাতে অভিভাবকদের সচেতন করতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এজন্য ক্যাম্পেইন হিসেবে ভিডিও করে প্রচারণা ও কার্টুন তৈরি করে তা টিভিতে প্রচার করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। যাতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আদেশ পাওয়া মাত্রই প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত থাকতে পারে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়।
করোনা মহামারির কারণে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে এ ছুটি কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। এছাড়াও করোনার কারণে স্কুল কলেজে পাবলিক পরীক্ষায়ও সরকার কিছু পরিবর্তন আনে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা বলা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।